পর্তুগালে বড়দিন ও নববর্ষে নতুন নিষেধাজ্ঞা
নতুন বছর ও বড়দিনকে কেন্দ্র করে পর্তুগালে নতুন করে আবার করোনা বিধিনিষেধের জারি করা হলো। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ ও প্রেস কনফারেন্সে নতুন বিধিনিষেধ তুলে ধরেন।
তিনটি ক্যাটাগরিতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। প্রথমত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জনগণের উপস্থিতি সীমিত করা হয় প্রতি ৫ বর্গমিটারে একজন। পর্যটন কেন্দ্র বা অবকাশ যাপন কেন্দ্র, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে করোনা নেগেটিভ টেস্ট বাধ্যতামূলক করাসহ বাধ্যতামূলক টেলি ওয়ার্ক ও ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। যা আগামী ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত (প্রথম প্রহর) থেকে কার্যকর হবে।
বড়দিনকে কেন্দ্র করে ২৪ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান ও নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যেকোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাস্তা বা পাবলিক প্লেসে নতুন বছরের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাস্তা বা পাবলিক প্লেসে ১০ জনের বেশি লোক একত্রে জড়ো হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া উক্ত সময়ে পাবলিক প্লেসে অ্যালকোহল গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন >>> বড়দিন : অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের দিন
প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে পরামর্শ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, আমরা এটা ভাবতে পারি না যে বড়দিনের খাবারের টেবিলে বা আনন্দ উদযাপনে শুধুমাত্র আমাদের ভালোবাসায় থাকবে তবে বর্তমান প্রেক্ষিতে ভাইরাসও থাকতে পারে।
তাই তিনি পরামর্শ দেন, পরিবারের সম্মিলিত বড় আয়োজন পরিহার করা, দীর্ঘ সময় মাস্ক ব্যবহার না করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও বদ্ধ স্থান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। এমনকি পারিবারিক যেকোনো আনন্দ আয়োজনে সবার করোনা পরীক্ষা করে উৎসব উদযাপন করা।
তাছাড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে ২৪, ২৫, ২৬ ও ৩১ ডিসেম্বর করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে অপরদিকে দেশব্যাপী জনগণের প্রতি মাসে চারটি বিনামূল্যে করোনা টেস্টের পরিবর্তে এখন ছয়টি টেস্ট করতে পারবে। যা জনগণকে বেশি টেস্ট করতে উৎসাহিত করবে এবং অধিক সংক্রামক ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেক সহজ হবে।
উল্লেখ্য, পর্তুগাল ইউরোপে জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী দেশ হিসেবে অন্যতম। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো যখন অনেক কড়াকড়ি লকডাউনের মধ্যে যাচ্ছে সেখানে পর্তুগাল শুধুমাত্র ভ্রমণের করোনা নেগেটিভ টেস্টের মতো বিধিনিষেধ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরের তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। যদিও কিছুটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ১ ডিসেম্বর থেকে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে সরকারকে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করতে হলো। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থানে আছে পর্তুগাল।
ওএফ