ওন্টারিও লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের সাক্ষাৎ
ওন্টারিওর লেফটেন্যান্ট গভর্নর এলিজাবেথ ডাউডসওয়েলের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ। কুইন্স পার্কে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে কনসাল জেনারেলের স্ত্রী ডালিয়া পারভিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল টরন্টোতে তার কর্মকালীন সময়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অফিসের সার্বিক সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি গত সাড়ে তিন বছরে কনস্যুলেটে তার কার্যক্রম সম্পর্কে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে অবহিত করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের একটি মর্যাদাপূর্ণ উদ্বোধন, বাংলাদেশ-কানাডা বিজনেস ফোরাম -২০১৯ আয়োজন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং অন্টারিও চেম্বার অব কমার্স (ওসিসি)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পাদন, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে আটকে পড়া বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও নাগরিকদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা, মহামারির সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডাক্তারদের নিয়ে ২৪/৭ স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা চালু করা এবং অনলাইনে সব কনস্যুলার সেবা প্রদান করা।
অন্টারিও প্রদেশে রাণী এলিজাবেথ ২- এর প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট গভর্নর এলিজাবেথ ডাউডসওয়েল স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল পূর্ণ মাত্রায় বাংলাদেশি ও কানাডিয়ানদের সেবা প্রদান করতে সমর্থ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কনসাল জেনারেল নাঈম আহমেদ জানান, করোনার কারণে অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে সাস্কাচুয়ানে বিজনেস ফোরাম-২০২০-এর আয়োজন এবং অন্টারিও ও সাস্কাচুয়ান থেকে বাংলাদেশে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রেরণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কনসাল জেনারেল বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে গভর্নর জেনারেলকে অবহিত করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা।
কনসাল জেনারেল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকতর আন্তরিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া উভয়েই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নারী ক্ষমতায়ন, কপ-২৬ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
এমএইচএস