ভারত থেকে কানাডায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ২১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল
ভারত থেকে কানাডায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও ৩০ দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত থাকবে। তবে পাকিস্তান থেকে আসা যাত্রীদের কানাডায় প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। পাকিস্তান থেকে আসা যাত্রীরা বিমান নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন।
কানাডার পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাব্রা বলেছেন, ‘ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অনেক বেশি। তাই আমরা দেশটির জন্য বিমানের বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি।’
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত বিধিনিষেধ আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশটির জন সুরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার একটি টুইটের মাধ্যমে এই তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাইরের দেশ থেকে যেন করোনা নতুন ভ্যারিয়েন্ট না আসতে পারে, সেজন্যে গত ২২ এপ্রিল কানাডা সরকার ভারত ও পাকিস্তানের যাত্রীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২২ মে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে না হতেই নতুন করে আরও এক মাসের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এখন তা বাড়িয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তবে টিকা এবং প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম বহনকারী কার্গো বিমানগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও ভারত থেকে কানাডায় বসবাসরত যাত্রীরা এখনও কানাডায় আসতে পারবেন। তবে এজন্য তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। যার ফলাফল অবশ্যই নেগেটিভ হতে হবে।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, করোনার শুরু থেকেই সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হননি। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা ৩০ দিন বাড়ানোর ঘোষণাটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আর টিকা প্রদানের গতি আরও দ্রুততর না করা পর্যন্ত জনমনে শঙ্কা দূরীকরণে এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই দেশটির সরকার দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নাগরিকরা যেন দ্রুত টিকার আওতায় আসে সেদিকেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৬ হাজার ৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৯১ জন।
এমএইচএস