মন্ট্রিয়লে বিএনপির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই ছিলেন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক’—এই প্রত্যয়কে ধারণ করে কানাডা বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডা এবং বিএনপি ক্যুইবেক প্রাদেশিক শাখার যৌথ উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপ্রিল) মন্ট্রিয়লের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রবাসে বাংলাদেশের ইতিহাস, জাতীয় চেতনা ও গণতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ক্যুইবেক বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ রোকন।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এছাড়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডা বিএনপির তিনবারের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। কানাডা লিবারেল পার্টির নেতা ও সাবেক ইমিগ্রেশন মন্ত্রী মার্ক মিলার এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবুল কাহের শামীম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কানাডা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডার সভাপতি ও কানাডা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান মিয়া মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ খান নান্টু, কানাডা বিএনপি পূর্ব শাখার সহ-সভাপতি কামরুল হাসান ফারুক হাওলাদার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত এবং দলীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, বরং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মহান নেতা। বক্তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তারেক রহমান ঘোষিত ‘৩১ দফা’ রূপরেখার বাস্তবায়নের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ক্যুইবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা ফরহাদ রশীদ, আখলাকুল রহমান আলমগীর, ক্যুইবেক বিএনপির সহ সভাপতি মো. নওশাদ উল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল মোর্শেদ সুয়েব, দপ্তর সম্পাদক জুলকারনাইন নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল, নারী নেত্রী ছালমাতুন নাহার রুজি, খয়রুন্নেছা আক্তার রুজি, বিএনপি নেতা মুকু আহমেদ, এমরানুল ইসলাম তানু, আব্দুর রহিম আল ইদ্রিস, জাহাঙ্গীর হোসেন, সুজেল হোসেন ও আশরাফোর রহমান।
আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বাহলুল হোসেন এবং আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মোকরেমা রেজার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
আলোচনা সভা শেষে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে প্রবাসী শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক সংগীত মুগ্ধ করে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের।
জেডএস