পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
বিজ্ঞাপন
গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে পর্তুগালে বসবাসরত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের প্রবাসীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে সরকার প্রধানের পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
পরে মহান স্বাধীনতার বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনীতিক এবং সামাজিক নেতারা ১৯৭১ সালের পটভূমি এবং ২৪-শের জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন দিকে তুলে ধরেন। সবাই মিলে পর্তুগালের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বাধীনতার গৌরবান্বিত ইতিহাস এবং রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং বর্তমান সরকার দেশকে একটি সুন্দর স্থিতিশীল উন্নত অর্থনীতির দিকে প্রচলিত করার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার নিদর্শন তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সুনাম রক্ষাসহ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীদের অংশগ্রহণর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভা শেষে ২০২৪ জুলাই বিপ্লবের পটভূমি নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জুলাই আন্দোলনের শুরু এবং পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাধারণ ছাত্র জনতার ওপর বর্বর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয় এই প্রামাণ্য চিত্রে।
স্বাধীনতা দিবসের এক প্রতিক্রিয়ায় পর্তুগাল প্রবাসী স্থানীয় সোশালিস্ট পার্টির নেতা রাজিব আল মামুন জানান, ১৯৭১ সালে রক্ত বন্যার মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু এই স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ আমরা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারিনি তবে গত ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের এই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে যা রক্ষায় আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। অতিথিরা এই আয়োজনে উচ্ছ্বাসিতভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং দূতাবাসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
পর্তুগিজ যুব সোশ্যালিস্ট প্রবাসী বাংলাদেশি সাজিন আহমেদ কৌশিক বলেন, খুব সুন্দরভাবে দূতাবাস এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, প্রবাসের মাটিতে সবার অংশগ্রহণে এমন একটি আয়োজন বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কে আরও বেশি দৃঢ় করবে।
এআইএস