আবুধাবি দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সূচনা করেন তিনি। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। পরে অনুষ্ঠানে জুলাই ২০২৪-এর গণমানুষের সংগ্রাম, আত্মগোপন ও শহিদের স্মৃতিকে স্মরণ করে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে ১৯৭১ ও ২০২৪ এর জানা-অজানা সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে এইচ এম আবুল খায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক আজিজ, জিয়াউদ্দিন বাবলু বক্তব্য দেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তব্যে তারা বলেন, ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ আমাদের চেতনা এবং জুলাই ২০২৪ এর সংগ্রাম ও অভ্যুত্থান আমাদের প্রেরণা হয়ে উঠেছে। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আজিজ উল্লেখ করেন যে এই স্বাধীনতা আমাদের মায়ের অশ্রু, বোনের সম্ভ্রম আর বাবার সংগ্রাম দিয়ে কেনা, তাই আজকের দিনের শপথ হবে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ বিসর্জনকারী সব শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন অনেক রক্ত, কান্না, আহজারি আর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে কেনা যেই স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। ১২ লাখ প্রবাসীদের প্রত্যেকে যেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসে এই উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি দূতাবাস ও প্রবাসীদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দূতাবাসের সব ধরনের সেবা ও কার্যক্রমকে আরও বেশি প্রবাসীবান্ধব করার বিষয়ে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
এমএন