আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে দূতালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গও তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা তাদের বক্তব্যে দিবসের প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন।
তারা বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি একদিকে শোক ও বেদনার, অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। এ জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার যা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন। আলোচকরা তাদের আলোচনায় মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃতি আদায়ে ও ভাষা শহীদদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং মাতৃভাষার মর্যাদা ও সম্মানকে সমুন্নত রাখতে প্রবাসীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। ভাষার ব্যবহার বিশেষত স্বাগতিক দেশের জনগণের ভাষার দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা প্রবাসে আমাদের জীবনমান উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে তারা মতামত প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ তার বক্তব্যে ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ ও ২৪ এর জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এমএ