টেকসই বাণিজ্য সুবিধা তৈরির চেষ্টা করছে সরকার
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেকসই বাণিজ্য সুবিধা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমসিসিআইর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল রকি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান।
আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে এফটিএ সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ সইয়ের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্তমানে অনেকগুলোর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিশ্বের অনেক দেশ এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় স্থান বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, ১৯৮৩ সালে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট, ১৯৯২ সালে ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট এবং ১৯৯৪ সালে অ্যাভয়ডেন্স অব ডাবল ট্যাক্সেশন এগ্রিমেন্ট সই করে।
সভায় গেস্ট অব অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বিএমসিসিআইর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড মালয়েশিয়ার সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, এসভিসি ঝিলমিল রেসিডেনশিয়াল বিডি লি. এর চেয়ারপারসন ড. সাবরিনা। সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিএমসিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার শহীদ।
আরএইচ