উজ্জীবিত যুক্তরাজ্য বিএনপি, সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে এখানকা নেতাকর্মীদের মধ্যে। দীর্ঘ ৭ বছর পর তাকে দেখার জন্য দলের নেতাকর্মীরা উন্মুখ হয়ে আছে। যদিও খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আগের মতো এবার সাধারণ নেতাকর্মীদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর পুরো বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বিমানবন্দর, হাসপাতাল বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ভিড় করতে না পারেন সে জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দীর্ঘসময় পর আমরা গণতন্ত্রের মাকে আমরা কাছে পাচ্ছি। আমরা ম্যাডামকে বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ম্যাডামের স্বাস্থ্যগত বিষয় চিন্তা করে বিমানবন্দরে যাতে লোকজন জড়ো না হয় সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লিডার (তারেক রহমান) বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন। আমরা আশাকরি ম্যাডাম সুস্থ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাবেন।
আরও পড়ুন
যুক্তরাজ্য বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু বলেন, আমাদের নেত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আনেক উজ্জীবিত। দীর্ঘ ৭ বছর পর তিনি আবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। পরিবারের সবাই তার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে। তবে অন্যান্য সময়ের মতো আমাদের বিশেষ কোনও কর্মসূচি নেই। কেউ যেন বিমানবন্দরে ভিড় না করে সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিল। আমরা তাকে বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছি। তিনি চিকিৎসা শেষে আবার দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের দলের হাল ধরবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ৮ জানুয়ারি সকালে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বা লন্ডন সিটি এয়ারপোর্টে অবতরণ করবে। সেখানে তাকে রিসিভ করবেন বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, সেখান থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে লন্ডনের সবচেয়ে পুরানো বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে। সেখানে ডা. প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে। এটি অত্যাধুনিক চিকিৎসার একটি অ্যাডভান্স সেন্টার।
চিকিৎসার সামগ্রিক সমন্বয় করবেন তার পুত্রবধূ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোবায়দা রহমান এবং অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও লন্ডনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন গিয়েছিলেন। হাসিনা সরকারের একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
এসএম