টরন্টোতে কবি হেলাল হাফিজের স্মরণ সভা
কানাডার টরন্টোর ফিল্ম ফোরাম মিলনায়তনে কবি হেলাল হাফিজের স্মৃতিচারণ ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ শিরোনামে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ স্মরণ সভা হয়।
মৈত্রেয়ী দেবীর বিষয় ভাবনা ও আবৃত্তিকার ও সংগঠক হিমাদ্রী রায়ের সঞ্চালনায় কবির একটি ছোট্ট ডকুমেন্টারির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে কবিতা পরিবেশন করেন- মানবী মৃধা, সোহেলী ফারিয়া, অদিতি ফৌজিয়া, ইশতিয়াক আহমেদ ও মৈত্রেয়ী দেবী। কবির স্মৃতিচারণ করেন শেখ শাহে নেওয়াজ।
স্মরণ সভায় হিমাদ্রী রায় বলেন, শুধু দুটি লাইনের মাধ্যমে একটি সশস্ত্র সংগ্রামে আহ্বান করে এমন কবিতা হেলাল হাফিজ ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কোনো কবি লিখেছেন কি না জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, সবার নীরব মনোযোগ বলে দেয় আমরা আমাদের স্পন্দনে দ্রোহ ও বেদনার কবি হেলাল হাফিজের পঙ্ক্তি বোধে নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
কবি হেলাল হাফিজের কবিতার ওপর আলোচনায় কবি শহীদুল আলম টুকু বলেন, কবিতার শক্তিই কবিতাকে বাঁচিয়ে রাখে। কবি বেঁচে থাকবেন তার সৃষ্টিতে।
সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর বলেন, ৭৯ থেকে প্রতিটি আন্দোলনে বিপ্লবে হেলাল হাফিজ প্রাসঙ্গিক।
কবি দেলওয়ার এলাহী বলেন, কবি প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন যতদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান থাকবে।
ফজলুল হক সৈকত বলেন, কবিতায় রাজনৈতিক মঞ্চের স্থান নেই। তবে কবিতায় রাজনীতি থাকবে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকবে কিন্তু কবিতা দলবাজিকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনো মিছিলে না গিয়েও কবি হেলাল হাফিজ মানুষকে মিছিলে নামিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— চিত্রকর সৈয়দ ইকবাল, অন্য স্বরের কর্ণধার আহমেদ হোসেন, কবি ও শিল্পী রোকসানা বেগম, চিত্রশিল্পী শারমিন লাকি প্রমুখ।
এমএ