লন্ডনে শফিকুন্নূর স্মৃতি সংসদের আত্মপ্রকাশ
বাংলার ভাটি অঞ্চলের গানের জগতের প্রবাদ পুরুষ ও সুজনবন্ধু শিল্পী শফিকুন্নূরের কণ্ঠ সাধনার ইতিহাস ধরে রাখতে যুক্তরাজ্যে গঠন করা হলো শফিকুন্নূর স্মৃতি সংসদ।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি হলে এক সভার মধ্যদিয়ে এই স্মৃতি সংসদ গঠনের উদ্যোগ নেন শফিকুন্নূরের ভক্ত-অনুরাগী ও স্বজনরা।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও শামসুল ইসলাম রুবেলকে সদস্য সচিব করে শফিকুন্নূর স্মৃতি সংসদের প্রাথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলা লোকগানের এক পুরোধা পুরুষ শফিকুন্নূর নিজে যেমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান লিখেছেন তেমনি কণ্ঠে ধারণ করেছেন ভাটি বাংলার বিখ্যাত সব বাউল সাধকের গান। তার সুললিত কণ্ঠে হাসন রাজা, রাধা রমন, সৈয়দ শাহনূর, আরকুম শাহ কিংবা আব্দুল করিমের গান লাভ করেছে তুমুল জনপ্রিয়তা।
দিরাইয়ের এই কৃতি সন্তান ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত লোকগানের জগতে ছিলেন উজ্জ্বল তারকা। এক ভাগ্য বিপর্যস্ত ডাহুক শিকারি বিনন্দ আর অবারিত হাকালুকি হাওরের গল্প নিয়ে তার রচিত এবং পরিবেশিত বিনন্দের কিচ্ছা লোকসাহিত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
মৃত্যুর ২৮ বছর পর যুক্তরাজ্যে শফিকুন্নূর স্মৃতি সংসদ গঠনকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেন, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন রূপে প্রকাশ পাবেন লোক সংগীতে অসামান্য অবদান রাখা শিল্পী।
সভার দ্বিতীয়পর্বে বাউল সাধক শফিকুন্নূরের লেখা গান নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শহীদ এবং শিল্পী শফিকুন্নূরের দুই পুত্র জোবের আক্তার সোহেল ও শামসুল ইসলাম রুবেল।
রাজনীতিবিদ আবিদ আলীর সভাপতিত্বে এবং মনিরুজ্জামান রয়েলের পরিচালনায় আয়োজিত এ সভার তত্ত্বাবধানে ছিলেন জোবের আক্তার সোহেল। প্রধান অতিথি ছিলেন- টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার, কাউন্সিলর ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্য উদীচি সভাপতি হারুন অর রশীদ, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহীদ আলী, রাজনীতিবিদ নিসার আলী ও সৈয়দ এনাম, শিক্ষাবিদ ড. রোয়াব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর সাঈদা চৌধুরী, শিক্ষাবিদ এনায়েত সারোয়ার, প্রফেসর ওমর ফারুক, সত্যেন সেন স্কুলের সভাপতি গোপাল দাস ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, এটিএন বাংলা ইউকের বার্তা প্রধান সাঈম চৌধুরী, কমিউনিটি সংগঠক আমিনা আলী ও শাহরিয়ার বিন আলী, দিরাই শাল্লা কালচারাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ড. শামছুল হক চৌধুরী, দিরাই থানা ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন চৌধুরী, দিরাই থানা ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাহবুব হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফখরুল আলম চৌধুরী, কমিউনিটি সংগঠক তাওহীদ চৌধুরী।
ফ্রেন্ডস অব জগদল ইউনিয়ন ট্রাস্টের সাবেক সভাপতি ডা. মাসুক আহমদ, সৈয়দ শাহ মোস্তফা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল কামাল, দিরাই থানা ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সেলিম সরদার, দিরাই-শাল্লা ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের সভাপতি মহিউদ্দিন জগনু, দিরাই থানা ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক সর্দার আমির খসরু, দিরাই-শাল্লা কালচারাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান লিটন, রাজনীতিবিদ এনাম আহমদ, সমাজসেবক আব্দুল কাহার, দিরাই থানা ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিজিল মিয়া, ফ্রেন্ডস অব জগদল ইউনিয়ন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সোলেমান রশীদ জগলু, আনোয়ারুল হক ফিরোজ, শাহজাহান মিয়া, শাহজাহান তালুকদার, আখলাকুল আম্বিয়া, বুলন মিয়া, রুমেল আহমদ, দবির মিয়া, ফয়সল হাসান, আবুল মনসুর কুটি, হারুন মিয়া, আবুল আহমদ, বাবুল মিয়া, মোস্তাক আহমদসহ আরও অনেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এমজে