আবুধাবিতে ক্লিনিং কোম্পানি বন্ধ, কষ্টে আছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যাইনোনা জেনারেল ক্লিনিং কোম্পানি ৫ মাস ধরে বন্ধ থাকায় কষ্টে আছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। বাংলাদেশি শ্রমিকসহ কোম্পানিটির শ্রমিক সংখ্যা ৩ শতাধিক।
আমিরাতের আবুধাবি মাপরাক ক্যাম্পে সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ মাস ধরে বন্ধ থাকা কোম্পানির শ্রমিকরা খাদ্য ও পানির অভাবে কষ্টে আছেন। এসব শ্রমিকের অধিকাংশই কোম্পানিটিতে প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করেন।
তারা কোম্পানির কাছে বকেয়া বেতন ও অন্যান্য খাতে অনেক টাকা পান। কিন্তু কোম্পানি তা পরিশোধ করছে না। এদিকে পাওনা আদায়ে আদালতে গেলে করোনাকালে তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন আরব আমিরাতের শ্রম আদালত। অন্যদিকে ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতায় জরিমানাও হয়েছে অনেক শ্রমিকের। এমন বিরূপ সময়ে কী করবেন জানেন না এসব প্রবাসীরা।
বাংলাদেশি শ্রমিকেরা জানান, করোনাকালে পরিবারকে টাকা পাঠাতে পারছি না। ফলে তারাও দেশে কষ্টে আছে। ক্যাম্পে এসে আমিরাত পুলিশ খোঁজখবর নেয়। তবে মালিকপক্ষের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
তারা আরও জানান, একদিকে পানির সংকট অন্যদিকে খাবারের সমস্যা। পাঁচ মাস কী কষ্টে এখানে দিন কাটছে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না।
শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে এসব অসহায় শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। রাষ্ট্রদূত আবু জাফরের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। আবুধাবি শ্রমকল্যাণ উইং কাউন্সিলর (স্থানীয়) মোসাম্মৎ লুৎফুন নাহার নাজিমের ব্যবস্থাপনায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় লেবার কাউন্সিলর লুৎফুন নাহার নাজিম বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব সময় প্রবাসীদের পাশে আছে। কোনো প্রবাসী বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা পাবেন। আমরা আপনাদের পাওনা অর্থ আদায়ের সহযোগিতা করে যাব। আপনারা সব সময় এ দেশের আইন মেনে চলবেন। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রবাসীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ দেলোয়ার, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ সাইমন, মোহাম্মদ আজিম, মোহাম্মদ আক্তার আব্দুল খালেক, কোরবান আলী, সুমনসহ আরও অনেকে। তারা কোম্পানির থেকে পাওয়া আদায়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা দাবি করেন।
এইচকে