পর্তুগালের তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে কী কী থাকছে?
পর্তুগালে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন। সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া প্রায় সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে কী কী থাকছে?
তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে যা যা থাকছে চলুন জেনে নিই—
স্টার্ট-আপ
বর্তমানের বিশ্বায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি, এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। যে কেউ তার নতুন আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন স্টার্ট-আপ। এবারের আসরে ৩ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে এখানে হাজির হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য এর মাঝে ১২০০ স্টার্ট-আপ হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের।
বিনিয়োগকারী
নতুন স্টার্ট-আপের জন্য বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও কম নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক হাজারেরও বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেছেন এই সম্মেলনে। বিনিয়োগকারীরা বেছে নিতে পারছেন তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানকে। এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো ইনভেস্টমেন্ট লাউঞ্জে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত ২০২৩ সালের ওয়েবসামিটে বিভিন্ন কোম্পানি ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল।
অংশীদার (পার্টনার)
আইবিএম, এডোবি, মেটা (ফেসবুক), আলিবাবা এবং ভিসার মতো বিভিন্ন সেক্টরের বড় বড় কোম্পানি এই সামিটের পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এরা শুধু তাদের প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করছে তা না, ভবিষ্যতের জন্য তাদের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করছে এখানকার অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে।
বক্তা
মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্রাড স্মিথ, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টিম বার্নার্স লি, বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাসুসুয়েটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক উইলিয়াম লাজনিক , ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান কর্মকর্তা ওমর বাড়াডা, ভিসার সিএমও ফ্রান্ক কুপার তাছাড়া বিনোদন জগতের সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সেরা কনটেন্ট ক্রিয়েটর এরকম হাজারো বক্তা রয়েছেন যারা শিক্ষা, সংস্কৃতি ইতিহাস এবং এর সাথে প্রযুক্তির সম্মেলন ঘটাতে যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য মনোমুগ্ধকর বিষয়।
রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল
চল্লিশটি দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল তাদের কোম্পানিগুলো নিয়ে এখানে হাজির হয়েছেন। তারা তাদের স্টার্টআপগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফলে দেশগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তি খাতের নতুন দিগন্তে একে অন্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের তৈরি করতে পারছেন এবং ইনোভেটিভ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও আকর্ষিত করতে পারছেন।
ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র এমনকি আঞ্চলিক জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকেও এই সম্মেলনে যুক্ত করেছেন। এক কথায় বলা যায় এটি প্রযুক্তি খাতের একটি মহাযজ্ঞ যেখানে বিশ্বের সব তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমগুলোর সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবেন।
এমএ