জেনেভায় অনুষ্ঠিত হলো মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর
সুইজারল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সুইস কনফেডারেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রোববার (২৭ অক্টোবর) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শিরোনামে সভার পরিচালনা করেন জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) কামরুল ইসলাম। সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, লুসান, বার্ণ, লুচার্ন, বাসেলসহ বিভিন্ন ক্যান্টন থেকে আগত দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি মিশনের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১৫ বছর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রবাসী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও স্থানীয় বিভিন্ন অফিসে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে মিশন মিলনায়তন ছিল আনন্দ মুখর।
আরও পড়ুন
সভায় বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ক্যান্টন থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বক্তারা তাদের বিভিন্ন ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে বলেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এবং গুটি কয়েক ব্যক্তির পদচারণায় গত ১৫-১৬ বছর বাংলাদেশ মিশন এবং মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। এমনকি স্থানীয় কিছু প্রবাসী ব্যক্তির ব্যবসার মাধ্যমে বিগত সরকারের অনেকে সুইজারল্যান্ডে অর্থ পাচার করেছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
বক্তারা এতদিন ধরে চলে আসা দেশে এবং প্রবাসে বিভিন্ন বৈষম্যের তীব্র নিন্দা করেন। জেনেভা মিশন যেন আর কোনো দিন কোনো রাজনৈতিক দলের আখড়ায় পরিণত না হয় এ দাবি জানান উপস্থিত প্রবাসীরা।
এ ছাড়া মিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর দাবি জানানো হয়। মিশন কর্তৃক পরিচালিত জুরিখে ভ্রাম্যমাণ সেবার প্রশংসা করেন বক্তারা। এ ছাড়া জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) কামরুল ইসলামের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, তার একনিষ্ঠ আন্তরিকতা এবং পরিশ্রমে বিগত কিছুদিন যাবত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের বিশেষ দিনগুলো বিভিন্ন ক্যান্টনে উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
সভার সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশির দেশে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাসী জনসংখ্যার অনুপাতে প্রথম সারিতে রয়েছে। জেনেভা বাংলা পাঠশালার মতো সংগঠনে দেশীয় বই সরবরাহসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশ গঠনে সুইস প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রবাসীদের আরও বেশি যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
এসএসএইচ