‘দেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ অরক্ষিত’
সেন্টার ফর ব্রিটিশ বাংলাদেশিজের (সিএফবিবি) উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের এলএমসিতে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ অরক্ষিত। এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানী মানুষ সবসময় ওৎপেতে বসে থাকে, সুযোগ পেলেই সেই সম্পদ নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। ইতোমধ্যে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশির সম্পদ দখল হয়ে গেছে। নিজের সম্পদ দখলমুক্ত করতে তারা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কিন্তু প্রকৃত সহযোগিতা পাচ্ছেন না। প্রশাসন অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের পক্ষ না নিয়ে দখলকারীর পক্ষ নিয়ে থাকে। তাই দখলকারীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে।
তারা বলেন, একটি অরাজনৈতিক সরকার বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে। এটা একটি উপযুক্ত সময়, দেশের সম্পদ নিয়ে আমাদের আশঙ্কার বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে ধরা। নতুবা আমাদের আমাদের অবর্তমানে একসময় সেই সহায় সম্পদ বেদখল হয়ে যাবে।
সিএফবিবির সভাপতি ড. জামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার ব্যারিস্টার সায়েফ উদ্দিন খালেদ।
আরও পড়ুন
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি জাজ ব্যারিস্টার নজরুল খসরু ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি স্পিকার বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সিএফবিবির জেনারেল সেক্রেটারি দেলওয়ার খান, ট্রেজারার বাবলুল হক বাবুল ও মোসাদ্দেক আহমদ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন ইস্ট লন্ডন মস্ক ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সিনিয়র কর্মকর্তা আসাদ জামান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্যারিস্টার নজরুল খসরু তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি দ্বৈত নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং উত্তরাধিকার আইন সহজিকরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মূল বক্তব্যে ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের দাবি বাস্তবায়ন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি ও পাওয়ার অ্যাটর্নি প্রদান সহজিকরণ, পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করাসহ, বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রী-এমপিরা লন্ডনে এলে তাদের কাছে আমরা দাবি-দাওয়া পেশ করি। কিন্তু বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পর তাদের আর সেই দাবির কথা মনে থাকে না। তাই এখন থেকে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
এসএসএইচ