পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রিন্টার অকেজো, হুমকি মুখে প্রবাসীরা
ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রিন্টার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পাসপোর্ট সময়মতো না পাওয়ায় ভিসা নবায়ন করার সময় পার হয়ে গেছে। আরও হাজারো প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ছয় মাস আগে পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিয়ে এখনও হাতে পাচ্ছে না এমন প্রবাসীর সংখ্যাও কম নয়। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিটোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে পাসপোর্ট প্রিন্টার নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করলে প্রবাসীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা যায়। তারা পাসপোর্ট সময়মতো হাতে না পেলে দেশটিতে যে ভিসা কার্যক্রম চলছে তা থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রবাসীরা জানান, সময়ের মধ্যে আবেদন না করতে পারলে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে কয়েকশ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নতুন করে আবেদন করা পাসপোর্ট তারা হাতে পাননি।
আরও পড়ুন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন বছর ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অসংখ্য বাংলাদেশি জটিলতায় পড়ে দেশটিতে আটকে যান। প্রবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি মেশিন অকেজো হওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে না। দেশের অর্থনীতি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স প্রেরণ করে সচল রাখছে, প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ সচল রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ নির্দেশ থাকতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি বছরের জুন মাসে নতুন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রবাসীদের মধ্যে যারা আবেদন জমা দিয়ে রেখেছিলেন তারা নতুন করে ভিসা পেয়েছেন। আর যারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন তারাও দেড় মাসের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাচ্ছেন। তবে যারা ভিসা আবেদনের জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র জোগাড় করতে তৎপর হচ্ছেন তাদের পাসপোর্ট পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় নতুন করে চিন্তা বাড়ছে। যদিও সামনে ভিসা দেওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে এমন সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের নেই। তবুও প্রবাসীরা সময়মতো ভিসা পাওয়া নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে চান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিটোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, প্রিন্টার মেশিন কবে ঠিক হবে তার সঠিক তথ্য তারা জানেন না। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রবাসীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তারা।
এসএসএইচ