২০১৮ সালে ৭০ হাজারের স্বপ্নভঙ্গ, এবার ১৭ হাজারের!
বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের দেশটিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এর ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল ১৭ হাজার শ্রমিকের ভাগ্য।
পেনাং টুন আহমেদ ফুজির ইয়াং দিপারতুয়া নেগেরিতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সাংবাদিকদের বলেন, সব বিদেশি কর্মীদের নিয়ম-কানুন সবার জন্য একই। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকার পক্ষপাতিত্ব করে না। ২৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চার দিনে ২০ হাজারও বেশি বিদেশি শ্রমিক আসায় বিমানবন্দরে চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যাদের ভিসা অ্যাপ্রোভালের অনুমোদন এক বছর আগে দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রাপ্তি এবং ফ্লাইট টিকিটের ব্যবস্থা করতে এত সময় লাগার কথা না।
তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করেছে। আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের (ইপিইউ) লক্ষ্যমাত্রা ২৫ লাখ বিদেশি কর্মী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে উল্টোৃ প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এত দিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো, তবে তা ৩১ মে’র আগে করা উচিত ছিল। এখন সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
এছাড়া, নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচার, সার্ভিস ও কনস্ট্রাকশন খাতের জন্য আমরা বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ করেছি। কৃষি খাতের জন্য নতুন কোটা ছাড়াই আগের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করব।
প্রসঙ্গত, ভিসা পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ দিন ছিল গত ৩১ মে। শেষ সময়ে অনেক চেষ্টার পরও বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পাওয়া প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাননি বলে দাবি সরকারের। তবে, যেতে না পারা কর্মীদের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। তাদের দাবি, সব মিলিয়ে হাজার ছয়েক কর্মী আটকা পড়ছেন।
কেএ