আমিরাতে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলে এই আয়োজন করে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিনভর বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাজারো প্রবাসী। বাহারি সাজে সেজে ওঠে বাংলাদেশ স্কুল প্রাঙ্গণ। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মোড়কে মোড়ানো সাংস্কৃতিক আয়োজনে কিছু সময়ের জন্য মেতে উঠেন প্রবাসীরা। মেলায় পিঠা পুলি, পান্তা ইলিশ, দেশীয় খাবার, বই, হস্তশিল্প ও জুয়েলারি মিলে প্রায় ১৫টি স্টল স্থান পায়। এ ছাড়া লাল-সবুজের পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জনতা ব্যাংকের পাশাপাশি এতে অংশ নেয় বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে তারা প্রবাসীদের উৎসাহিত করে।
দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়ে মেলায়। সন্ধ্যায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় মেলা প্রাঙ্গণ। নানা সাজে, নানা বয়সের প্রবাসীরা এতে অংশ নেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনে রাখা হয় ভিন্ন ভিন্ন পর্ব।
আরও পড়ুন
সকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল বিশেষ আকর্ষণ। যেখানে শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো। দূতাবাসের পাশাপাশি এই আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে আবুধাবির মহিলা সমিতি। প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মেলা প্রাঙ্গণ পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। বিদেশের মাটিতে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালনের পাশাপাশি দেশীয় হরেক রকম খাবার খেয়ে উৎফুল্ল প্রবাসীরা। তারা নিয়মিতই চান এমন আয়োজন।
আবুধাবি মহিলা সমিতির সভাপতি সালমা আহমেদ বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। বিদেশে থাকা সত্ত্বেও বৈশাখে এই সমস্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে স্বাদ-সংস্কৃতি, পোশাক-আশাক সবকিছুর আমরা অনুভব করতে পারি। সেজন্য এই আয়োজন। যেভাবে সবাই বৈশাখী সাজে সেজেছেন আর খাবারের পসরা সাজিয়েছেন তাতে আয়োজনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতি বছর এই আয়োজন করে থাকে। দেশের ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরা হয় এখানে। প্রবাস প্রজন্মকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের শেকড়ে আবদ্ধ রাখার জন্যই এই আয়োজন।
এমজে