নানা আয়োজনে গ্রিসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় গ্রিসে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ২৬ মার্চের সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্বে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনায় সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের একটি ৫ তারকা হোটেলে কূটনৈতিক অভ্যর্থনার আয়োজন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাগণ, এথেন্সে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকগণ, নেতৃস্থানীয় গ্রিক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের বার্তা তুলে ধরেন।
তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ভূমিকা, বিশেষ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনুন্মেচিত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করার উপর জোর দেন।
এরপর রাষ্ট্রদূত অতিথিদের নিয়ে জাতীয় দিবসের কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মহাদেশীয় খাবারের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় এবং বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠানে গ্রিক সাংসদ ও বাংলাদেশ-গ্রিস পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়োরগস স্ট্যামাটিস বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ও গ্রিক পার্লামেন্টের মধ্যে আগামী দিনে সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে। দুদেশের সম্পর্ক আরও বেশি দূর নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা অবদান রাখবেন।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রঙ-বেরঙের পোশাক ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেয়েও তারা আনন্দিত হয়েছেন। তারা আশা করছেন বাংলাদেশ আগামীতে আরো ভালো করবে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভূমিকা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হবে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন— মোহাম্মদ খালেদ, কাউন্সিলর (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পাল প্রমুখ।
এতে বাংলাদেশ কমিউনিটি, গ্রিস আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এনএফ