কানাডায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
কানাডায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় ১৭ মার্চ টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে। সকালে বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সূচিতে ছিল বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য উপস্থাপন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও বিশেষ মোনাজাত।
আরও পড়ুন
উপস্থিত আমন্ত্রিতরা বঙ্গবন্ধুর শৈশব, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সংগ্রামী জীবনের উপর আলোকপাত করেন। একইসঙ্গে এ বছরের প্রতিপাদ্য 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে'-অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মর্মে আলোচনা করেন।
কনসাল জেনারেল মো. ফারুক হোসেন জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ লাভ করতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন বাংলার নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল। শিশুদের প্রতি জাতির পিতার ছিল অপরিসীম মমতা। তিনি বিশ্বাস করতেন এই শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এ দেশের শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এদিন জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আগামী দিনের কর্ণধার শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দেশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এমএসএ