কানাডায় বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরে পিঠা উৎসব
উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কানাডার ক্যালগরির হোয়াইটহর্ন কমিউনিটি সেন্টারে ব্যতিক্রমী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের শীতকালীন পিঠা উৎসব। তুষারাবৃত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ-উৎসবে মেতে ছিল অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় আবাহনে বাংলার মাঠে প্রান্তরে এখন পিঠা উৎসবের আমেজ। নতুন ধানে ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির উৎসব। আর এই উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মময় জীবনের পাশাপাশি প্রবাসী বাঙালিরাও মেতে উঠেছিল শীতকালীন পিঠা উৎসবে। বাঙালি জীবনে সংস্কৃতির এই উৎসব যেন এক মহামিলন।
নতুন প্রজন্মের কাছে হাজার বছরের আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই ছিল উৎসবের মূল লক্ষ্য। উৎসবে ছিল বাংলার ঐতিহ্যময় হরেক রকমের পিঠা পুলি ও বাঙালি খাবারের পসরা।
রঙিন আর বর্নিল সাজে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী বাঙালি গৃহিণীরা পরিবেশন করেন চিতই পিঠা,পাটিসাপ্টা, পুলি এবং গুরা পিঠা, গোলাপ পিঠা, পাকন পিঠা, ভাপা পিঠা এবং হৃদয় হরণ পিঠাসহ অন্যান্য পিঠা। সাংস্কৃতিক পর্বে নাচ ও গান পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও বাংলার প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় অবয়বে বাঙালিয়ানা সাজে সজ্জিত কমিউনিটি সেন্টার বিকেল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে শিশু কিশোর ও বড়দের সংগীতানুষ্ঠান, রাজশাহী অঞ্চলের বিখ্যাত খাবার আর গম্ভীরা। উৎসবে ছিল বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা। নারী পুরুষ আর শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত পুরো কমিউনিটি হল মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল একখণ্ড বাংলাদেশে।
আয়োজকরা জানান, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি। আমাদের সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই পিঠা উৎসবে।
তারা জানান, এ ধরনের একটি উদ্যোগে বিদেশের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করছি। পিঠার ঐতিহ্যের পাশাপাশি আমাদের বাঙালিয়ানা আড্ডার ঐতিহ্যটাও এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা বজায় রাখতে পেরেছি। প্রবাসে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে নতুন প্রজন্মের মাঝে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বলেও জানান আয়োজকরা।
পিএইচ