পর্তুগালে আগুন নেভাতে গিয়ে পাইলটের মৃত্যু
পর্তুগালজুড়ে গত সাত দিন যাবত সৃষ্ট ভয়াবহ দাবানলে শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে গোয়ারদা জেলার ফজকোয়া অঞ্চলে আকাশ পথে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট আন্দ্রে রাফায়েল সেররা মারা গেছেন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আছড়ে পড়ে। এতে আগুন ধরে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে পাইলটের মৃত্যু হয়। তিনি ২০০৯ সালে পর্তুগিজ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন এবং তিনি একজন অভিজ্ঞ পাইলট হিসেবে পরিচিত। তিনি স্পেনের বর্ডার সংলগ্ন পর্তুগালের টর দে মনকরভো অঞ্চলে অগ্নিনির্বাপক ‘আমফিবিয়ান ফায়ার বস’ নামক বিমান নিয়ে আগুন নেভানোর দায়িত্বে ছিলেন। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় দাবানল এলাকার পাশেই পুনরায় জ্বালানি ভরে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাইলটের মৃত্যুতে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী এন্তেনিও কস্তাসহ রাষ্ট্রপতি, বিরোধী দলীয় নেতা থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চস্তরের ব্যক্তিরা ও সাধারণ মানুষ শোক প্রকাশ করেন। সরকার তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশায় দিয়েছে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির জনগণ আবেগঘন পোস্ট দিচ্ছেন। পেট্রিশিয়া কস্তা গেসপার নামে এক নারী টুইটারে লিখেছেন, ‘পাইলট মরেনি, আকাশ থেকে তার নিজের দুটি ডানা মেলে আবারও ফিরে আসবে, ধন্যবাদ আন্দ্রে।’
আন্দ্রে রাফায়েল সেররার স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানী লিসবনে বসবাস করতেন। তার জন্মস্থান রাজধানীর অদূরে বারেইরোতে। তার বয়স হয়েছিল ৩০ বছর।
গত ১০ দিন যাবত উচ্চ তাপমাত্রা এবং শুষ্ক বাতাসের কারণে পর্তুগালে দাবানলের সৃষ্টি হচ্ছে এবং গত সাত দিন যাবত তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১২টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে স্থল ও আকাশ পথে দমকল বাহিনী কর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটিতে আগামী রোববার পর্যন্ত বিপর্যস্ত পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে।
এসএসএইচ