পর্তুগালে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
পর্তুগালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানী লিসবনের অদূরে কাশকাইস শহরের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ৪০ জনেরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ পর্তুগিজ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার সহধর্মিনীসহ দূতাবাসের দুই জন দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী এবং আলমগীর হোসেন সস্ত্রীক আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। বাংলাদেশ এবং পর্তুগালের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ইতিহাস ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তথা মানবতার প্রতীক হিসেবে ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পরে পর্তুগালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জাও বেনতাং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে আছি এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
কাশকাইস মিউনিসিপ্যালিটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফ্রান্সিস্কো ক্রে বলেন, পর্তুগালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবনযাপনই বলে দেয় বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে প্রবাসী সংগীত শিল্পী সাদিয়া নৃত্য পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ছবি দিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। উপস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে বাংলাদেশে ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জেডএস