সরকারের কাছে রিজভীর ৭ প্রশ্ন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর পোশাক খাতে নতুন শঙ্কার দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা নিষেধাজ্ঞার কারণ দেখিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহার হওয়া ঋণপত্রে (এলসি) বিশেষ একটি ধারা যুক্ত করে দিচ্ছেন। এ কারণে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে অর্থ আদান-প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের স্বার্থে এসব সংবাদকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির বিরুদ্ধে রং চড়িয়ে ব্লেইম-গেইমে লিপ্ত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সরকারের কাছে জনগণ সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব জানতে চায়।
এগুলো হলো- ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কেন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল; শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তার সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি জোগাড় করতেও নাকি কষ্ট হয়েছিল, তাহলে লবিস্ট নিয়োগের জন্য বিপুল পরিমাণ ডলারের যোগান দিল কে; ওই সব ডলারের উৎস কি; রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা খরচ করে ২০১৪ সাল থেকে কি কারণে, কি উদ্দেশ্যে বিনাভোটের সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করতে হয়েছে; লবিস্ট নিয়োগ করতে রাষ্ট্রের এ পর্যন্ত কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে; কোন খাত থেকে কীভাবে লবিস্টদেরকে টাকা দেওয়া হয়েছে; এতো বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের কথা জনগণকে কেন জানানো হয়নি?
এই আওয়ামী সার্চ কমিটির নামে খাস কমিটিকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এই অনুসন্ধান কমিটির দ্বারা মনোনীত নির্বাচন কমিশন হবে একান্তভাবে সরকারের আস্থাভাজন। এগুলো দিয়ে জনগণের সঙ্গে নাটক প্রহসন প্রতারণার রং-তামাশা চলছে। নির্বাচন কমিশন নয়, জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। তাই সরকারকে বলব এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন।
ক্ষমতা ছেড়ে সরকারকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, তা না হলে কোনো কিছু করে লাভ হবে না। আপনাদের সাথে জনগণ নেই। এখন বিদায় নিতে হবেই।
এএইচআর/ওএফ