বাকশালে শেষ রক্ষা হয়নি, ইসি আইনেও হবে না : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভাবছে নির্বাচন কমিশন আইন করে বেঁচে যাবে। বাকশাল করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, নির্বাচন কমিশন আইন করেও শেষ রক্ষা হবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন পাস করার এখতিয়ার বর্তমান সরকারের নেই। কারণ এ সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধির নয়। এই আইন শুধু বিএনপি নয়, দেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বিএনপি মানে না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা আবার বাকশালে ঢুকতে চাই না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবে।
চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকায় বেরিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খবর, আমরা কয়েক দিন আগে স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করে রেজুলেশন দিয়েছি। গত ২৫ তারিখে আমরা যে সংবাদ সম্মেলন করেছি সেখানে বিষয়টি এনেছি, আমাদের নজরে পড়েছিল। আমরা পরিষ্কারভাবেই এখনও দাবি করছি, তখনও দাবি করেছি— বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। জমির দাম ২০ গুণ বাড়িয়ে ৩৬৫ কোটি টাকা করা হয়েছে, ডিসি তা বলেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে চরম অনিয়ম হচ্ছে। অনিয়মে জড়িতদের কিচ্ছু হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব লুটপাট করে নিয়ে গেল। মন্ত্রী সই করলেন, তার উপস্থিতিতে রিজেন্ট গ্রুপের সঙ্গে সই হলো, মন্ত্রিত্বে বহাল তবিয়তে আছেন। চতুর্দিকে লুটপাট করে দেশকে একদম ফোকলা করে দিয়েছেন। সেই দেশ এখন রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।
এএইচআর/আরএইচ