রাষ্ট্রযন্ত্র ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে : রিজভী
রাষ্ট্রযন্ত্র ‘অবৈধ’ ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নির্যাতন করছে। এখন রাষ্ট্রযন্ত্র অবৈধ ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গুম-খুন নির্যাতন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জিয়া পরিষদ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধী দলকে দমন করার জন্য এমন কোনো অবৈধ পন্থা নেই যা সরকার প্রয়োগ করে নাই। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের গুম-খুনের কথা উচ্চারিত হচ্ছে। গুম-খুনের দায়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করে কতিপয় ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল করেছে। তাদের পাচারকৃত টাকা বাতিল হয়ে যাবে। তারপরেও সরকারের লজ্জা নাই।
বর্তমান সরকার কাপুরুষ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম শুধু মাত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ার কারণে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার সমালোচনা ভয় পায়। কারণ, তাদের জনগণের ভিত্তি নাই। তাদের আশঙ্কা জনগণের স্রোতে তারা ভেসে যেতে পারে। এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার কোনো দোষ-ত্রুটি খুঁজে পায়নি। তারপরেও কারা কারাবন্দি করে রেখেছে।
আজকে কোনো বিচারক সঠিক রায় লিখতে পারে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কেউ সঠিক রায় দিলে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। প্রধান বিচারপতিকেও বন্দুকের নলের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে এটা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রায়। আজকে কোর্টে যে রায় দেওয়া হয় সেটা কোনো রায় না। সেটা শেখ হাসিনার রায়।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি লুতফর রহমানের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
এএইচআর/এইচকে