‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের প্রত্যেকে হত্যার আসামি হবে’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, সরকারের সবাইকে হত্যার আসামি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা না করে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা দরকার। চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেকোনো সময় তার জীবনে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের প্রত্যেককে হত্যার আসামি করা হবে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে ফখরুল এসব কথা বলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দেশে গণতন্ত্র হত্যার প্রধান নায়ক আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যখন দেখে জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে থাকা নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার উদ্যোগ নেয়। আর এতে প্রধান নায়কের ভূমিকায় ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তাই ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার করা হবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজপথে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস