রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে না সিপিবি
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির ডাকা চলমান সংলাপে অংশ নেবে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। রোববার (২ জানুয়ারি) দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে আমন্ত্রণ পেয়েও রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়নি খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বধীন বাসদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকে (সিপিবি) আমন্ত্রণ জানান। ১ জানুয়ারি সিপিবি থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো পত্রে জানানো হয়, আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিপিবি নেতারা চিঠিতে মতবিনিময় সভায় (সংলাপ) অংশগ্রহণের অপারগতার কথা জানান।
সিপিবি পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, এই মৌলিক বিবেচনা থেকে সিপিবি নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায়, হুবহু একই আলোচ্যসূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ বলা হয়, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা জরুরি। আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনি জাতীয় সংসদকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে আগামী একমাসের ভেতরে ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ প্রণয়ন করে তা স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে বলুন। তাহলে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আপনার বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না।
এএইচআর/এসএম