ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে হিন্দি গান কষ্ট দেয় তথ্যমন্ত্রীকে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি যখন কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে হিন্দি গান শুনি, সেটা আমাকে প্রচণ্ড পীড়া ও কষ্ট দেয়। বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের তালে তালে আমাদের ছেলেমেয়েরা নাচে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ সঙ্গীত পরিষদের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা এবং আবহমান বাংলার গান চর্চা আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবার কারণে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণে হুমকির সম্মুখীন।
তিনি বলেন, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় আসি, বিশেষ করে ছাত্রীদের বেশভূষার সাথে আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিল খুঁজে পাই না। সেজন্য মৌলিক সংস্কৃতি চর্চা আমাদের বাড়াতে হবে। সারা দেশে সংস্কৃতি চর্চার ঢেউ বয়ে দিতে পারলে সে ঢেউয়ে অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা ভেসে যাবে। সে কাজটি করার সময় এসেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। এখনও পদে পদে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি, পঁচাত্তরের খুনি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারী, ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীরা এখনও দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাই কবিতা-গানের মাধ্যমে অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উজ্জীবিত করতে হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কাজটা শুধু রাজনীতিবিদদের নয়। এর জন্য সবাইকে প্রতিদিন সতর্ক থাকতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সে চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম হবো। আগামীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে বাংলাদেশের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সঙ্গীত পরিষদের মহাসচিব ফেরদৌস হোসেন। বক্তব্য রাখেন- শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম আশিকুর রহমান প্রমুখ।
এএজে/এনএফ