খালেদা জিয়ার কখন কি হয় বলা যায় না : ড. জাফরুল্লাহ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘গুরুতর’ বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল, কখন কি হয় বলা যায় না, আমরা কেউ জানি না।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
কাউন্সিলে উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি তাদের একটি অনুরোধ করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে আমি কোনো কথা বলছি না। আজ তারেকের উচিত- প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ফোন করে বলা, আমাকে পছন্দ করেন আর না করেন, মায়ের জন্য সবাই দোয়া করেন। তার জীবন বাঁচান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, তারেক আরও একশ বুদ্ধিজীবীকেও ফোন করে বলবেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমার মায়ের জীবন বাঁচান। আর মির্জা ফখরুলসহ সবাই প্রতিটি পার্টির কাছে যাবেন এবং বলবেন- আসেন, আমরা সবাই ঈদগাহ মাঠে এক ঘণ্টার জন্য সমবেত হই।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, যখন এরশাদ কোনো আইনজীবী পাচ্ছিলেন না, তখন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক তাকে সাহায্য করেছিলেন। তার ছেলে আজকের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই সরকারের আরেকটা বিচার হবে। দুর্নীতির মামলার বিচার হবে।
বিচারপতিদের সমালোচনা করে ড. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে পারেন। আমি তো মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু তাকে জামিনটা দিচ্ছেন না। একজন প্রধান বিচারপতি হবেন। প্রধানমন্ত্রী কার দিকে চোখ দেন, সেজন্য একজন বিচারপতিও কথা বলছেন না।
সবশেষে তিনি বলেন, গণফোরামের নতুন এ কাউন্সিল আমাদের নতুন করে পথ দেখাবে। সাফল্য দেখাবে।
মন্টু সভাপতি, সুব্রত চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক!
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে গণফোরামের কাউন্সিলের প্রথম অংশ শেষ হয়। বিকেল ৩টার পর কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গণফোরামের এই অংশের সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি আর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক এবং অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরীকে নির্বাহী সভাপতি করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণফোরামের এক নেতা বলেন, মন্টু ভাই সভাপতি আর সুব্রত দাদা সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন। আর সাঈদ ভাইকে নির্বাহী সভাপতি করা হবে। এর বাইরে অনেকে কমিটিতে থাকবেন। কমিটির আকার ১০১ সদস্য বিশিষ্ট হবে।
গণফোরামের এ অংশের সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরির ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির নেতা আব্দুস সালাম।
এএইচআর/আরএইচ