মানুষ হত্যার নির্বাচন ‘ভয়ংকর ও মর্মান্তিক’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নাগরিকের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এসব ঘটনাকে তিনি ‘ভয়ংকর ও মর্মান্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে নির্বাচনী নাটকের নামে সহিংসতায় ৩৯ জনের প্রাণহানি প্রজাতন্ত্রের জন্য খুবই ‘ভয়ংকর ও মর্মান্তিক’। এসব শাসকদলের অন্তঃকোন্দল ও গণতন্ত্রবিহীন হিংস্র রাজনীতির কুফল।’
রব বলেন, ‘নাগরিক হত্যার দায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে। নাগরিকের জীবন সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। নির্বাচনী প্রহসনে দিনের পর দিন প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হত্যার পরও সরকার এবং ইসি তথাকথিত ‘উৎসবমুখর’ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা করবে, তা কোনক্রমেই গ্রহণীয় হতে পারে না। নাগরিক সুরক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, সংঘর্ষ, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে না দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ চরমভাবে ধ্বংস হওয়ার পরও সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয় দেখানের জন্য ‘নির্বাচনী আয়োজন’ জাতির কাছে তামাশায় পরিণত হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচন রক্তের হলি খেলায় রূপান্তর লাভ করছে কিন্তু সরকার কোনো দায় দায়িত্ব গ্রহণ করছে না।’
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হত্যা বা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অরাজকতা ও সংঘাত এবং জিঘাংসার সংস্কৃতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এইউএ/এসকেডি