‘আওয়ামী লীগের লুটপাট বন্ধ হওয়ার নয়’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাট কখনই বন্ধ হওয়ার নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম দিন দিন বাড়তে থাকবে আর আপনাদের পকেট থেকে পয়সা যেতে থাকবে। আজকে আসার পথে দেখলাম, রাস্তায় বাস নেই। অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কষ্টের কথা আপনি চিন্তা করতে পেরেছেন? ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই টাকা তার নিজের পকেট থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দেবে এবং সেখান থেকে তারা লুটপাট করে। কোনো টাকাই দেশে থাকছে না, সব টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্লাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটব) আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের এখনও দুই বেলা খেতে কষ্ট হয়। বিশ্বের ব্যয়বহুল দেশের যে ইনডেক্স রয়েছে, সেখানে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে দুর্নীতিতে শীর্ষে, পরিবেশ দূষণেও শীর্ষে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা ৫, ১০,২০ লাখ টাকার কেউ চুরি করছে না। চুরি করছে শত শত কোটি টাকা। হাজার থেকে লাখ কোটি টাকা তারা চুরি করছে। আর এত টাকা চুরি করে বাংলাদেশে রাখা সম্ভব নয়, তাই তারা বিদেশে পাচার করছে। এত বড় অংকের টাকা বাংলাদেশের রাখা সম্ভব হবে না, এটা বাইরে যেতেই হবে। বাংলাদেশের জনগণের কোনো সরকার নেই। সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই। তারা বারবার জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। চুরি করতে করতে তারা এখন পাকা চুরে পরিণত হয়েছে।
সামনে আর চুরি করা সম্ভব হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই ভোট চোর স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। আলোচনাতেও যাবে না। শুধুমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের আলোচনা হতে পারে। নিরপেক্ষ সরকার কেমন হবে সেখানে আওয়ামী লীগ নয়, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী তাদের সকলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তৈরি করা হবে।
সাংবাদিকদের বিদেশে পালিয়ে না গিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি বিশ্বের যেখানেই যান না কেন সেখানে দেখবেন আমাদের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা পালিয়ে আছেন। তারা বাধ্য হয়েছেন এই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে। আপনারা আর কত পালাবেন? আর পালাবেন না। এখন ঘুরে দাঁড়ান।
এমএইচএন/এসকেডি