শতাধিক নেতাকর্মী আটকের দাবি রিজভীর
সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষার ব্যর্থতার প্রতিবাদ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশের আগে-পরে দলের শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। সূর্য ডোবার আগেই আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দাবি করেন।
রিজভী দাবি করেন, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আটক নেতাকর্মী হলেন কৃষকদল কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন নান্নু, তাঁতিদলের এ আর বি মামুন, আবদুর রেজ্জাক, মো. ফরিদ, যুবদল নেতা চায়না সুমন, মো. জসিম, রেজাউল ইসলাম প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা মো. রাসেল, মো. রাকিব, বদরুল, জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মো. জেহাদুল রঞ্জু, ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুস্তুম আলী, বাবুল আহমেদ মুন্না, শাহাদাৎ হোসেন, নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও বোরহান উদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে, গুলি ও হামলায় ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে রিজভী বলেন, গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজ সকাল থেকে পুলিশ বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। সকাল থেকে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। অনেকের ওপর হামলা করেছে। সূর্য ডোবার আগেই আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে জনগণের সঙ্গে লড়াই হবে। আমরা শান্তি চাই, লড়াই চাই না।
এদিকে, পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৩০ জনের মতো আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ব্যর্থতার প্রতিবাদে মিছিলের জন্য জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের মিছিলে বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল নাইটিংগেল মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তখন পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনা পুলিশের অন্তত ছয় জন সদস্য আহত হয়েছেন।
এএইচআর/ওএফ