সরকারও চায় দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদল থাকুক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারও চায় দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ দাবি করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদলের যে প্রত্যাশা তা পূরণে ব্যর্থ বিএনপি নেতারা নিজেদের অক্ষমতা আড়াল করতে পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি নেতারা এখন আর নতুন কোন বক্তব্য না পেয়ে পুরনো অভিযোগই বারবার নতুন করে বলছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণও চায় একটি বিরোধীদল জনগণের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝুক, যাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সক্ষমতা থাকবে। যারা জনগণের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াবে ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে।
এ সময় বিএনপিকে গুজব ও অপপ্রচার না চালিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে বিএনপি এখন দায়িত্বহীন এক পরশ্রীকাতর দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি জনগণের আশেপাশে না গিয়ে এখন বিচরণ করছে মিডিয়া আর ভার্চুয়াল জগতে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বিএনপি নেতারা এখন রাজনীতি নয়, অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন। ফরমায়েশি তথা নির্দেশিত হয়ে তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন, যার সাথে দেশ ও জনগণের সম্পর্ক নেই।
সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করতে পারে না- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সবার আগে যেকোনো দৈব-দুর্বিপাকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মিডিয়ায় শুধু কথামালার ফুলঝুরি ছড়ায়। বিএনপির সুবিধাবাদী চরিত্র এবং ক্ষমতা-লিপ্সা জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর।
তিনি বলেন, একটি অশুভ মহল দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা আমাদের গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি হুমকিস্বরূপ।
এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে বলে দেশের জনগণকে এসব গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। একই সাথে ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে এর অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এর অধীনে নির্মাণাধীন ৩৫টি সেতু ও রংপুর জোনের দুটিসহ মোট ৩৭টি সেতুর উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী তার বাসভবন থেকে উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন সেতুগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক ও সার্ক হাইওয়ের সাথে সংযুক্তি ঘটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। কিন্তু যতই উন্নয়ন হোক, সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তিনি নিরাপদ সড়কের জন্য যেকোনো উপায়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে জানান।
এইউএ/এইচকে