সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, সবজি, এলপিজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে, জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা বলেন, এক দিকে সরকার বলছে ফসলের উদ্বৃত্ত, অন্যদিকে বাজারে দাম বাড়ছে। ভারত, থাইল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ১৫ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশে চালের দাম ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
তেল, পেঁয়াজ, চিনির দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সরকার বলছে মজুদ পর্যাপ্ত আছে, তারপরও দাম বৃদ্ধির কারণ কী? এর কোনো জবাব নেই। অন্যদিকে এলপিজির দাম তিন মাস আগে ছিল ৮৫৯ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১২৫৯ টাকা। এ পরিস্থিতিতে জনগণ জীবন-জীবিকা রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, সরকার বাজারে জিনিস-পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে শুধু ব্যর্থ। এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ফলে জনগণ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
জোটের নেতারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ, গ্রাম-শহরের সর্বত্র পর্যাপ্ত ওএমএস ও রেশনিং চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, বাজার মনিটরিং এর জন্য গণতদারকি ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক মোশররফ হোসেন নান্নু প্রমুখ।
এমএইচএন/আরএইচ