গ্রহণযোগ্য পন্থায় এবারও নির্বাচন কমিশন গঠন হবে
গ্রহণযোগ্য সব পন্থায় এবারও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতির আহ্বানে ও সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ সব দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দলের সম্মেলনও নির্ধারিত সময়ে হবে। আওয়ামী লীগে আগাম সম্মেলনের নজির নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্রের কোনো কাঠামো নেই। তারা শুধু মুখেই গণতন্ত্রের কথা বলে। যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। বিএনপির যে সিরিজ জনসভা হচ্ছে এটা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা নয়। তাদের সিরিজ সভা, সিরিজ বোমার হামলার ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্থার ঠিকানা হলো বিএনপি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্র করে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। দেশের গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গতবছর রাষ্ট্রপতি যে সার্চ কমিটি করেছিলেন সেখানে বিএনপির প্রতিনিধি ছিল, তিনিও কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু সময় আগে খবর পেলাম ভূঁইফোড় সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু যারা লীগ বা আওয়ামী, মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত করে ভূঁইফোড় সংগঠন গড়ে তোলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর। এসব সংগঠন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে। এসব সংগঠনের কোনো বৈঠকে বা আয়োজনে বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের না থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে আগাম কোনো সম্মেলন হয়নি। আগামী নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের সম্মেলন যথাসময়ে হবে। আওয়ামী লীগের উপকমিটি সম্পূর্ণ হয়েছে, যদিও এই কমিটির সদস্যদের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই তারপরেও যদি বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় বা কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এমনকি কোনো ব্যক্তির অপকর্ম বা গোপনে কোনো কাজে জড়িত থাকলে মিডিয়াতে এলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মূল্যবোধ, গণতন্ত্র রক্ষায় নীতিমালা অনুযায়ী দেশের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করে তাদেরকে যেকোনো মূল্যে কঠোর হাতে প্রতিহত করতে হবে। দেশ বিরোধী সব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দলকে আরো সুসংগঠিত করতে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীদের একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, জঙ্গি-সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে। আন্দোলনের নামে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করলে কোনো অপপ্রয়াস করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
এইউএ/জেডএস