সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষের মূল উৎপাটনের শপথ
জাতীয় কাজী নজরুল ইসলামের মানবতাবাদী চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষের মূল উৎপাটন করাই আজকের দিনের শপথ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, নজরুলের সাম্প্রদায়িক চেতনা চিরদিন বাঙালির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ এখনও ডালপালা বিস্তার করে যাচ্ছে, সেই বিষবৃক্ষকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমূলে উৎপাটিত করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।
এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেনসংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, যুগ্মসচিব অসীম কুমার দে, বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কবির প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর শ্রদ্ধাবোধ ছিল। সেই শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে কবিকে ভারত থেকে নিয়ে এসে জাতীয় কবি উপাধিতে ভূষিত করেন। কবি নজরুল এখনও প্রাসঙ্গিক আছেন এবং ভবিষ্যতেও প্রাসঙ্গিক থাকবেন। তার বিদ্রোহী কবিতা স্বাধীনতা যুদ্ধেও যেমন মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, তেমনি স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও সাহস ও উৎসাহ যুগিয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা ও গান আমাদের সকল দুঃসময়ে, আন্দোলন-সংগ্রাম ও ক্রান্তিকালে অনুপ্রেরণা উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবঙ্গ শেখ মুজিবুর রহমানও তার সংগ্রামী জীবনে তার কবিতায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি সাম্যের গান গেয়েছেন, অসমাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার কথা বলেছেন। আবার একইসঙ্গে ধর্মীয় মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ফলে তার কবিতা ও গানে বহুমাত্রিক দর্শনের সম্মিলন ঘটেছে।
এইউএ/এসএম