কাদিয়ানিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে : হেফাজতের মহাসচিব
কাদিয়ানি সম্প্রদায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কাদিয়ানি সম্প্রদায়। তারা দেশের শীর্ষ আলেম-উলামাদের থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের চিঠির মাধ্যমে কাদিয়ানি হতে আহ্বান জানাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা মূলত দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কাদিয়ানিদের এসব ষড়যন্ত্র দ্রুত থামাতে হবে। তারা এসব অপকর্মের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করে দেশের মধ্যে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ দেশের মুসলমানরা কোনোভাবেই খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকারকারী গোস্তাখে রাসুলদের অপতৎপরতা মেনে নেবে না।
আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায় সুকৌশলে খতমে নবুওয়াতের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। তারা খতমে নবুওয়াতের মত নির্ভেজাল একটা ঈমানি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলে অপপ্রচার চালায়। এ থেকেও সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ খতমে নবুওয়াতের ইস্যু কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এটির সম্পর্ক সরাসরি ঈমানের সঙ্গে। খতমে নবুওয়াতকে যে অস্বীকার করবে, সে মুসলিম থাকতে পারে না। কোনো মুসলিমের পক্ষে খতমে নবুওয়াতের বিরোধিতা করা সম্ভব নয়।
হেফাজতের এই নেতার দাবি, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ সূচনালগ্ন থেকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন এই দেশে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা না হবে ও কাদিয়ানিদের অপতৎপরতা বন্ধ না হবে, ততদিন এই সংগঠন নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
সরকারকে দ্রুত সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের মতো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে জোর দাবি জানান হেফাজতের মহাসচিব।
এএইচআর/ওএফ