টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি, সুস্থ আছেন খালেদা জিয়া
করোনা টিকরে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, টিকা নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিএনপির মহাসচিব এ কথা জানান। গত বুধবার রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে আমেরিকার তৈরি মডার্নার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলে আসছি। এই জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করাও হয়েছিল। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে অনুমতি দেয়নি। এখন তারা অনুমতি না দিলে তো আমরা উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পারছি না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছিলেন, গত ১৯ জুলাই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। জ্বর ভালো হতে প্রায় এক সপ্তাহ লেগেছিল। তাই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া পর আমরা ম্যাডামকে খুব ক্লোজলি পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। এখন পর্যন্ত শরীরে হালকা ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। তিনি সুস্থই আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক বলেন, গতবার টিকা নেওয়ার পর ম্যাডাম জ্বরে আক্রান্ত হলেও আশার কথা হচ্ছে এবার ওই রকম কিছু হয়নি। তিনি ভালো আছেন। আমরা নিয়মিত উনাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই ম্যাডামকে দেখতে যাই। বাসায় যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব, সেইগুলো করছি। বর্তমানে উনার পুরানো রোগগুলো তো আগের মতোই আছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে ৫৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন রাতে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ’র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও দুইবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
এএইচআর/ওএফ