মালিকদের মুনাফার জন্য ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে শ্রমিকদের জীবন
গণপরিবহন ও টিকার ব্যবস্থা না করে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলার সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী ও অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন। বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা শিশু, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড বাচ্চু ভুইয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড রুবেল হেসেন। সভা পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিতে দেশে যখন প্রতিদিন ২০০-২৫০ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ১৫-১৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তার প্রভাবে গোটা দেশ যখন লকডাউনে, সেই সময় মালিকদের মুনাফার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়াই রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী ও অমানবিক।
তারা বলেন, করোনা মহামারিতে সব আমলা-মন্ত্রীরা ঘরে বসে অনলাইনে নিরাপদে থেকে অফিস চালাচ্ছেন। গোটা দেশকে লকডাউনে রেখে শ্রমজীবী মানুষকে করোনা মহামারিতে অমানবিক অবস্থায় ফেলেছেন। ট্রাকের মধ্যে, কাভার্ড ভ্যানের মধ্যে গাদাগাদি করে পায়ে হেঁটে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ঢাকায় ফিরছে। এ রকম হয়রানির কোনো মানে হয় না। মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখলেও গত ১৫ মাসে শ্রমিকরা রাষ্ট্র কিংবা মালিকদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। সরকার শ্রমিকদের দেখে রফতানি বাড়ানো আর প্রবৃদ্ধি অর্জনের যন্ত্র হিসেবে। তাদের মানুষ হিসেবে দেখে না।
এ সময় বক্তারা কারখানা গেটে শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা ও টিকাদান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু, ঝুঁকি ভাতা প্রদান, করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের মালিক ও সরকারের দায়িত্বে আইসোলেশন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, করোনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের সরকারি কর্মচারীদের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
এসকেডি