বিএনপির ওষুধ বিতরণ
করোনা মহামারির মধ্যে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন জেলায় হেল্প সেন্টার চালু করেছে বিএনপি। আর সেই সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী তুলে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে সারাদেশে দলের হেল্প সেন্টারে ওষুধ সামগ্রী পাঠানো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নরসিংদীর সভাপতি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মানিকগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপুর হাতে ওষুধ সামগ্রী তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।
অনুষ্ঠানে দলের করোনা পর্যবেক্ষণ সেলের আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৬০টি জেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে ছয়শ অক্সিজেন সিলিন্ডার হেল্প সেন্টারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ৯ হাজার করোনা রোগীকে ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেলিফোনের মাধ্যমে ২৫ হাজার ২৫০ জন করোনা রোগীর সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে দলের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। হেল্প সেন্টার থেকে ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার, অক্সিজেন সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের টিকা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায়ও দলের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন।
সরকার যেভাবে করোনা অতিমারিকে ‘হেন্ডেল’ করছে, তাতে তাদের আর এক মিনিট ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। টুকু বলেন, যারা মানুষের জানমাল রক্ষা করে না, তারা সরকার চালাতে পারে না। দেশে সরকার নেই। উচ্চপর্যায়ে কমিটি মিটিং করে গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সেই পর্যায়ে সিনিয়র সেক্রেটারি বা সিনিয়র গভর্নমেন্ট অফিসিয়ালসরা আছেন।। তাদের মাথায় এটুকু ঢুকল না যে আমরা যে খুলে দিচ্ছি, এই লোকগুলো কীভাবে আসবে? আমি মনে করি এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি যে মিটিং করল তাদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুবুদ্ধির উদয় হোক। ক্ষমতা হস্তান্তর করুক, ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের মানুষকে সেবার পথ সুগম করে দিক।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুলফিকার আলী জুয়েলকে ত্রাণ বিতরণ করা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের চেহারা। ত্রাণ বিতরণ করতে গেলেও তাকে গ্রেফতার করছে তারা। এত ভয় পায় তারা বিএনপিকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
এএইচআর/এসএসএইচ