সম্পদের হিসাব দিতে আমিও প্রস্তুত : ওবায়দুল কাদের
এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলে আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি নিজেও সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুত।’
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং স্পষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীসহ কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুদক যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী ও এমপির বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার কাউকে রক্ষা করতে যায়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুদকের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বা বাধা নেই। সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলে আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি নিজেও সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর আয়কর-রিটার্নের মাধ্যমেও সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। সে হিসাব বা ট্যাক্স প্রদানে গড়মিল থাকলেও তা দুদক তদন্ত করে দেখতে পারবে।’
সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিকার চেয়েও কার্যকরি মাস্ক। বাংলাদেশে যে পরিমাণ টিকা প্রয়োজন সে পরিমাণ টিকা আসছে। বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা পর্যায়ক্রমে আসবে। টিকা নিয়ে কোনো সংকট হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংকটে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালনের চরম ব্যর্থতা আড়াল করতে মিথ্যাচারই বিএনপির এখন একমাত্র অবলম্বন। বিএনপি নেতারা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অক্ষমতা ঢাকতেই সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটিকে একাধিক টিম করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এতোগুলো রাজনৈতিক দল অথচ কেবল মাত্র আওয়ামী লীগই এখন সরেজমিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একটি দল ঘরে বসে লিপসার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু জনগণ এখন লিপসার্ভিস চায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো কথা সর্বস্ব কোনো রাজনৈতিক দল নয়। নিজের সব কিছু নিয়ে অকাতরে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বলে জনগণ আওয়ামী লীগকেই বিপদে বন্ধু মনে করেন।’
তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় আজ প্রশংসিত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। তার অসীম সাহসের কারণেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশকে আজ বিশ্ব মূল্যায়িত করছে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।’
এ সময় ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ওবায়দুল কাদের।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য রিয়াজুল কবির কাউছার ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সভাপতি এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান প্রমুখ।
এইউএ/ওএফ