বিএনপির অধিকাংশ নেতা ঈদ করবেন ঢাকায়
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বরাবরের মতো গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। শুধু দলীয় চেয়ারপারসন নয় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাই এবার ঈদে ঢাকায় থাকছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যানসহ নির্বাহী কমিটির যেসব নেতা ঈদ উদযাপনের জন্য নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেছেন, তাদেরও ঈদের পরে দিন ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ নেতাই ঈদ করতে নিজ সংসদীয় এলাকায় যাননি। তাছাড়া ঈদের একদিন পর থেকে আবারও শুরু হবে লকডাউন। ফলে এই পরিস্থিতিতে দলের অধিকাংশ নেতা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকার বাসায় অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় ঈদ উদযাপন করবেন। আর যেসব নেতা এরই মধ্যে এলাকায় ঈদ করতে গেছেন, তাদেরও লকডাউন শুরুর আগেই ঢাকায় ফিরে আসার কথা রয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন। এরপর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান ঢাকায় ঈদ করবেন। আর স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদের দিন নিজ নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ থাকবেন। তবে তিনি ঈদের পর দিনই ঢাকায় ফিরবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি মনে করি, যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ করা উত্তম। আমি ঢাকায় ঈদ করবো।
দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঈদের দিন সিরাজগঞ্জ থাকবো। তবে ঈদের পর দিনই ঢাকায় ফিরব। কারণ আমি এলাকায় থাকলে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ দেখা করতে আসবে, এতে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে। তাই ঢাকায় ফিরে আসব।
শায়রুল কবির খান জানান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন বীর উত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ডক্টর মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন অসীম ঢাকায় ঈদ করবেন।
তিনি আরও জানান, দলের ভাইস-চেয়ারম্যানের মধ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুল, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম, মীর নাসির হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কদ্দুস দুলু, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ নিজ-নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমি নিজ এলাকায় ঈদ করবো। তবে ঈদের পর দিন ঢাকায় ফিরব।
এছাড়া বিএনপির নেতাদের মধ্যে কারাগারে আছেন ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফজ্জামান বাবর। আর বিদেশে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান ড. উসমান ফারুক, কায়কোবাদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন ফালু।
এএইচআর/এসকেডি