বিএনপির হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি গণতন্ত্র বিকাশে বড় বাধা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সৈনিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে পারস্পরিক যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে, তার মূলে রয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং বেগম জিয়াকেও কখনো হত্যার ষড়যন্ত্র করেনি। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহবস্থানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা বিএনপি বড় বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে।
অদৃশ্য শত্রু করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিষয় মাথায় রেখে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি দলের কর্মীদের বাঁচাতে হবে।
সৈনিক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক না হতে পারলে সৈনিক লীগ করে কোনো লাভ হবে না।
সৈনিক লীগের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সৈনিক লীগের সম্মেলনের পর দলটিকে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম অথবা সহযোগী সংগঠন করা হতে পারে।
দলটির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরীন আহমদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এইউএ/জেডএস