ডা. জাফরুল্লাহকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি গণঅধিকার পরিষদের

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনের স্মৃতিচারণ করার সময় এ দাবি জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন গরিবের ডাক্তার। বিগত আওয়ামী সরকার তাকে বারবার অসম্মানিত করেছে। তার নামে মিথ্যা মামলা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু আমাদের আফসোস আজকের এই বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা দেওয়া হলো না, কোনো দোয়া মাহফিলের আয়োজন হলো না। এই সরকারও কী তাহলে আ.লীগের মতো ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ভুলে যেতে চায়..?
দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অপরিসীম। ২০১৮ সালের ভোট চুরির নির্বাচনের পর যখন কেউ কথা বলার সাহস পেতেন না। তখন ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একমাত্র বুদ্ধিজীবী হিসেবে ছিলেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজকে খুবই হতাশা নিয়ে বলতে হচ্ছে তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয়ভাবে কিছুই করতে দেখা যায়নি।
দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় মানুষের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। এমনকি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই তিনি রাজপথেও শামিল হয়েছিলেন। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস স্যারসহ উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই তখন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কোনো আয়োজন করে নাই, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
আরও পড়ুন
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা জিলু খান,আনিসুর রহমান মুন্না,আশরাফুল হাসান তপু,শাহজাহান চৌধুরী, মনির মওলা,আলাউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা সানাউল্লাহ প্রমুখ।
এমএন