স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত জামায়াত

স্বাধীনতাহীন জাতির কোনও অধিকারের গ্যারান্টি থাকে না; তাই অর্জিত স্বাধীনতা সুসংহত ও অর্থবহ করে গণমানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে দলমত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, স্বাধীনতা প্রত্যেক জাতির আরাধ্য। আর আমাদের স্বাধীনতা জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও টেকসই করার জন্য জনগণের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবেও আমরা ছাত্র-জনতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। ফলে এক ঐতিহাসিক বিজয় আমাদের হাতে এসে ধরা দিয়েছে। আমরা দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, আমরা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন যে সমাজ হবে গণমুখী, মানবিক ও কল্যাণকামী। যেখানে সকল নাগরিকের অধিকারের সমান নিশ্চয়তা থাকবে।
মাহফুজুর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা দলমত, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু একটি বিশেষ মহল আমাদের জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তিনি অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
জেইউ/এমজে