বিচারপতি রউফের মৃত্যুতে চরমোনাই পীর ও জামায়াতের শোক

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও মাগফেরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিজ্ঞাপন
রোববার(৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক শোক বার্তায় মৃতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা।
শোক বার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিচারপতি আবদুর রউফ দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরাতে যে অবদান রেখেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
বিজ্ঞাপন
নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারপতি আবদুর রউফের অবদান জাতি আজীবন স্বরণ করবে। তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
অন্যদিকে শোকবাণীতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ছিলেন জাতির অভিভাবক তুল্য প্রবাদ প্রতীম এক মহীরূহ ও দুঃসময়ের কাণ্ডারী। তিনি জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও ঐতিহাসিক অবদান রেখে সর্বমহলেই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন প্রজ্ঞাসম্পন্ন, প্রতিভাবান ও ন্যায়নিষ্ঠ বিচারক। তিনি বিচারপতি থাকাকালে অনেক চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছেন, যেসব দেশ ও জাতির জন্য মাইল ফলক।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবেও তিনি সততা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিতে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে সাহসিকতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে জাতিকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে জাতীয় জীবনের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পূরণীয় নয়।
জেইউ/এমএ