ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে ওয়াসার প্রতি ইউনিট পানির মূল্য ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
বুধবার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ফ্রন্টের সভাপতি ডা. এম.এ করিম ও সাধারণ সম্পাদক ব্রিগে. জেনা. (অব) এম. জাহাঙ্গীর হোসাইন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভোক্তাদের দাবি কোনো রকম আমলে না নিয়ে লুটপাটের পথ আরও সুগম করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির মূল্য বাড়ানো হয়েছে।
ওয়াসা ঢাকা মহানগরীর সব এলাকায় যেমন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তেমনি সরবরাহকৃত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহেরও নিশ্চয়তা বিধান করতে পারেনি। যার কারণে মহানগরীতে পানির জন্য হাহাকার, বিক্ষুব্ধ জনতার কলস নিয়ে মিছিল প্রায়শই দেখা যায়। অথচ সরকার বছর বছর পানির মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে।
ওয়াসার সর্বশেষ বোর্ড সভায় ১৩ জন সদস্যদের মধ্যে ৪ জন সদস্য করোনাকালে মূল্য না বাড়ানোর করার প্রস্তাব করেছিলেন। মূল্য বাড়ানোর কারণে আগামী জুলাই থেকে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৫ দশমিক ১৮ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৪২ টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হবে। গত বছরও এপ্রিল মাসে করোনা মহামারির সময়ে পানির মূল্য বাড়ানো হয়েছিল।
এ বছরও মার্চ মাস থেকেই পানির মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছিল। সরকার একদিকে উন্নয়নের বাজনা বাজাচ্ছে আবার একইসঙ্গে জীবন জীবিকার সব প্রয়োজনীয় বিষয়কে রাষ্ট্রীয়, দলীয় ও ব্যবসায়ীদের অবাধ লুটপাট ও লাগামহীন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিণত করে চলেছে। তারই একটি উদাহরণ হচ্ছে মিনারেল ওয়াটারের নামে বোতলজাত পানির রমরমা ব্যবসা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার কারণে গত এক বছরে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। ৪২ শতাংশ শ্রমিকের আয় আগের তুলনায় কমেছে। নিত্যপণ্যে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে প্রায় দুই মাস যাবত সরকারের দায়হীন লকডাউনের কারণে শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত, এমনকি মধ্যবিত্তকেও খাদ্য সহায়তার জন্য হাত পাততে হচ্ছে। এমন সময়ে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরতান্ত্রিক এ সরকার লুটপাটের পথকে সুগম করতে জনগণের পকেট কাটার ব্যবস্থা করছে।
এমএইচএন/আরএইচ