‘দুর্নীতির পথ বন্ধ হলে কোনো কোনো দল নেতাকর্মী শূন্য হয়ে যাবে’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, অতীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তৃণমূলের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির পথ বন্ধ হলে নেতাকর্মী শূন্য হয়ে যাবে সেই দল।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির পথ বন্ধ হলে অতীতের ক্ষমতাসীনরা নেতাকর্মী শূন্য হয়ে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। এজন্য চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা হতাশাজনক।
আরও পড়ুন
গাজী আতাউর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লব মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও অধিকারহারা মানুষকে মুক্ত করার জন্য হয়েছে। যারা শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ত্যাগ করেছেন। অতীতে দুর্নীতিতে রেকর্ড করা কোনো দলকে ক্ষমতায় নেওয়া আর শুধু নির্বাচনের জন্য এ ত্যাগ করেনি। ৫৩ বছরে যারাই ক্ষমতায় ছিল তারা লুটেপুটে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হতে কাজ করেছে। লোকেরা বলছে, দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি হাত বদল হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইসলামী আন্দোলন জুলাই বিপ্লবে প্রকাশ্যে শুরু থেকে থেকেছে। যে দল বলেছিল ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে আমরা নাই, তারা এখন আবার কৃতিত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কারের কথা বলা এক ধরনের। অতীতেও দলগুলো জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশকে একটি দলের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
এতে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ হানিফ মিয়া।
জেইউ/এমএ