‘ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় যেতে পারবে না’
সংস্কার কাজ শেষ না করে যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
তিনি বলেন, ‘কারো হুমকি-ধমকিকে পরওয়া না করে শক্তহাতে নিজ পরিচালনা করতে হবে। বিগত পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি, লুটপাটের রাজনীতি।’
শনিবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ শামিমের (শামিনুর) সঞ্চালনায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতিকে বিভক্ত করে শাসনের নামে শোষণের রাজনীতি করেছেন। কোনো অজুহাতে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে অনেকগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলাচত্বরে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪, ১৫, ১৬ সালে বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকর্মীদের গুম-খুন-হত্যা করা হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে বাংলাদেশের মাটিতে নরেন্দ্র মোদীকে আনার ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্তের কারণে অনেককে হত্যা ও অনেক আলেম কারাবাস বরণ করেছেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রায় দুই হাজার স্বাধীনতাকামী তরুণ-যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। কাজেই এ গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হওয়ার পর নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, কালো টাকা, পেশীশক্তি মুক্ত নির্বাচন এবং জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অনুযায়ী পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার সেই সঙ্গে নতুনভাবে চলা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেইউ/এমএন